আজ বেদনাভরা মন, আর শোকাহত হৃদয় শুধু কাঁন্না করে। সত্যিই পৃথিবী আপন গতিতে চলে! থেমে নেই একটি মিনিটের জন্যেও। প্রতিদিন ঠিক সময়ে সূর্য উদিত হয় পূর্ব আকাশে, আর পশ্চিম আকাশে অস্ত যায়! নদীতে জোয়ার  আসে, ভাটা যায়, সাগরের জল ঢেউ খেলে যায় রীতিমত। চাঁদ আলো ছড়ায় তাঁর জোৎস্না দিয়ে!
উপরের কথা গুলো বলছিলাম কক্সবাজার সিটি কলেজের (অনার্স ১ম ব্যাচ) ব্যবস্থাপনা বিভাগের (বিবিএ) ৪র্থ বর্ষের ছাত্র, মহেশখালীর কৃতিসন্তান, প্রিয় বন্ধু সামশুকে নিয়ে। তিনি অাজ অামাদের মাঝে নেই! চলে গেছে চিরতরে। না ফেরার দেশে! অাজ তাঁর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী।

প্রিয়, ক্যাম্পাসে আসে আর যায়, হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী, জাতীয় পতাকা উড়ে ভবনের প্রধান ফটকের সামনে, শহীদ মিনার কিংবা, বটগাছের নিচে বসে বন্ধু-বান্ধবীদের আড্ডা অার মিলন মেলা! শিক্ষকের দেওয়া এসাইনমেন্ট নিয়ে চলে ছুটা ছুটি। ক্যান্টিনের চা আড্ডা ঠিক চলে প্রতিদিনকার মত। চলে কুনসুটি আর অভিমান।
বেঁচে তাকলে তুইও মাস্টার্সের ফলাফলের জন্য অপেক্ষায় থাকতি। কিন্তু পৃথিবী গদ্যময়। অার ইতিহাসে ভরা একটি ক্ষণিকের ক্ষেত্র মাত্র। যে পৃথিবী থেকে অামাদের সবার অাগে চলে গেলি চিরস্থায়ী জান্নাতের বাগিচায়!
শুধু আসেনা সাদা সিধে সামশু। তবে শুন্যতা থেকে যায়, সবার মাঝে। প্রিয় বন্ধু সামশু তোর কথা আর বেদনা নিয়ে অামরা ফিরে যাই, নিজ গন্তব্যে। আহা .রে.কত যে আপন ছিলি সবার মাঝে, তাই বুঝি এভাবে চলে গেলি আমাদের ছেড়ে? না ফেরার দেশে!

আজও বুঝাতে পারিনা নিজের মনকে! তোকে বাচঁতে দিলনা ঘাতক ক্যান্সার। শুনে সত্যিই বিশ্বাস করতে পারিনি সেদিন। হুহু করে কেঁদে ফেলেছি আর মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছি, যেন অাল্লাহ তোকে জান্নাত বাসী করে!

ক্ষমা করে দিও বন্ধু! আমিন!